১৩ জুলাই, ২০২৫

স্টিফ নেক হলে যা করণীয়


অনেক সময় হঠাৎ করে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া বা স্টিফ নেকের সমস্যা হতে পারে। এতে ঘাড় ডানে বা বাঁয়ে সরালে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘাড় নাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। এসব ক্ষেত্রে আমরা স্বাভাবিকভাবেই আশপাশের দোকান থেকে কিছু ব্যথার ওষুধ, গরম বা ঠাণ্ডা সেঁক দিয়ে ব্যথা নিরাময়ের চেষ্টা করে থাকি।

কিন্তু কোনো কোনো সময় এই ব্যথা স্বাভাবিক প্রচেষ্টায় নিরাময় হয় না। তাই এই ব্যথা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা বা ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণ

  •  ঘাড়ে কোনো আঘাত লাগা
     
  •  ঘুমানোর সময় ঘাড় বেকায়দা অবস্থায় থাকা
     
  •  কাজের ফাঁকে হঠাৎ করে ঘাড় ঘোরানোর সময় কোনো মাংসপেশি বা লিগামেন্ট ইনজুরি হলে এ ধরনের ব্যথা হতে পারে।
     
  •  দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা
     
  •  খেলাধুলাজনিত কারণে স্পোর্টস ইনজুরি হলে
     
  •  দীর্ঘমেয়াদি আর্থ্রাইটিস রোগ
     
  •  মেরুদণ্ডের সূক্ষ্ম জয়েন্ট ও ডিস্কে সমস্যা হলেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
     
  •  ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে মেনিনজাইটিসের কারণেও ব্যথা হতে পারে।
     

ঘাড় শক্ত ও ব্যথা হলে করণীয় কী?

  •  হঠাৎ করে ঘাড় ব্যথা বা শক্ত হয়ে গেলে দ্রুত বা তাড়াহুড়া করে নাড়ানোর চেষ্টা করা যাবে না।
     
  •  বাসায় গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
     
  •  চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাভাবিক ব্যথার ওষুধ পাঁচ থেকে সাত দিন খাওয়া যেতে পারে।
     
  •  অল্প কয়েক দিনের জন্য নেক কলার ব্যবহার করে যেতে পারে, তবে তা সব সময়ের জন্য নয়।
     
  •  বাসায় ব্যথা নিরাময়ে ব্যর্থ হলে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ ফিজিওথেরাপি এবং এরপর ম্যানুয়াল রিলিজের মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকর।
     
  •  ব্যথা নিয়ে কোনো ধরনের ব্যায়াম করা যাবে না। তবে ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ব্যথার উন্নতি হলে ব্যায়ামের চেষ্টা করা যেতে পারে।
     

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

  •  প্রচণ্ড জ্বর হওয়ার পর ঘাড়ে ব্যথা হলে।
     
  •  আঘাতজনিত কারণে তীব্র ঘাড়ে ব্যথা মেরুদণ্ডের সমস্যা কারণে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
     
  •  ঘাড়ে ব্যথা হাত অবধি চলে এলে বা হাতের আঙুলের মাথা অবশ অনুভব করলে।
     
  •  সপ্তাহখানেক স্বাভাবিক প্রচেষ্টায় ব্যথার উন্নতি না হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
     

পরামর্শ দিয়েছেন-

ডা. মো. আহাদ হোসেন (চিফ কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ)

বাংলাদেশ সেন্টার ফর পেইন ম্যানেজমেন্ট, কাঁটাবন, ঢাকা

author

নিউজ ডেস্ক (৪৮)