Loading
আগের দিনে রূপচর্চা বলতে ঘরোয়া উপাদানে ত্বকের চর্চাকেই বোঝানো হত। একটু কাঁচা হলুদ আর কমলার খোসা বেটে নিয়ে তাতে দুধের সর মিশিয়ে ত্বকে মাখা, ব্যস এতটুকুই। সময়ের পরিক্রমায় সৌন্দর্যচর্চার ধরণ, উপকরণ সবই বদলেছে। কিন্তু আদিম সেই পদ্ধতি একটুও বদলায়নি।
বরং এখনো অনেকেই এমন ঘরোয়া উপাদানেই সারেন রূপচর্চা।
কাজের প্রয়োজনে অধিকাংশ মানুষই এখন এসির মধ্যে বেশি সময় থাকেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। আর্দ্রতা ধরে রাখতে একটু সময় দিন ত্বকের পেছনে।
শীতের দিনে খুব ভাল কাজ করে কমলালেবুর খোসা। এই সময় বাজারে এ ফল পাওয়াও যায় প্রচুর। কমলা খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করুন ত্বকে। আর্দ্রতা উধাও হবে আবার চকচকে হয়ে উঠবে ত্বক।
ব্রণ দূর করে
কমলার খোসাতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণমুক্ত করে তোলে। কমলার খোসা অল্প পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার পানিটুকু ছেঁকে একটু ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এভাবে ব্যবহারের ফলে ত্বক মুহূর্তেই উজ্জ্বল দেখায়।
ত্বকের পোড়াভাব তুলতে
কমলার খোসার মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই তেল থাকে। এই তেল যেমন ত্বকের পোড়াদাগ তুলে দিতে পারে তেমনই ত্বককে মসৃণ রাখে। কমলালেবুর খোসা বাটার সঙ্গে মুসুর ডাল বাটা মিশিয়ে নিন। এই প্যাক খুব ভাল স্ক্রাবিং এর কাজ করে।
ঘরোয়া ফেসপ্যাক
আবার কমলার খোসা বাটা, কাঁচা দুধ, লেবুর রস, চন্দন গুড়া একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার তা সারা মুখে লাগিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে মুখ অনেক বেশি নরম থাকবে।
শুষ্কতা দূর করতে
শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফেরাতেও কমলালেবুর খোসার কোনও তুলনা নেই। খোসা বেটে টকদই এর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন। ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতেই শুষ্কতা দূর হবে এবং উজ্জ্বল হবে ত্বক।