Loading
কোভিড ১৯-এর নতুন রূপ জেএন.১ নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষকরা বেশ উদ্বিগ্ন। কোভিডের এই নতুন রূপ নাকি আরো বেশি সংক্রামক হতে পারে। কোভিডের টিকাও এই প্রতিরূপকে প্রতিরোধ করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) রিপোর্ট অনুসারে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য ১১টি দেশে ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের জেএন.১ প্রতিরূপের খোঁজ মিলেছে। কোভিডের এই নতুন রূপের ছড়িয়ে পড়া আবারো চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী মহলে।
চলতি বছরের ২৫ আগস্ট লাক্সামবার্গে সবার প্রথম কোভিডের জেএন.১ প্রতিরূপের সন্ধান মেলে। তারপরে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রেরও এটি শনাক্ত হয়।
গবেষকদের একাংশ মনে করছে, কোভিডের নতুন প্রতিরূপটি বিএ.২.৮৬-এর বংশধর যা পিরোলা নামেও পরিচিত। এর উৎপত্তি মূলত ওমিক্রন থেকেই। তবে কোভিডের এই নতুন রূপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন একেবারেই কম।
সাম্প্রতিক অতীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের একাধিক দেশে কোভিডের এক্সবিবি.১.৫ প্রতিরূপে সংক্রমিত হচ্ছিল বেশিরভাগ মানুষ। ওই কথা মাথায় রেখে টিকার বুস্টার ডোজ তৈরি করা হয়েছিল। তবে আগের প্রতিরূপগুলোর তুলনায় জেএন.১ অনেকটাই রূপ বদলে ফেলেছে। নতুন ধরনের স্পাইক প্রোটিন শক্তি বাড়িয়েছে কোভিডের এই নতুন প্রতিরূপের।
এই রূপ অতিসংক্রামক এবং একসাথে একবার শরীরে বাসা বাঁধলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করতে সক্ষম। এই রূপ দেখে কোভিডের বুস্টার টিকার মান আরো উন্নত করতে হবে কি-না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা